নিজস্ব প্রতিবেদক :
* সিটি কর্পোরেশনের তিনটি গাড়ি ব্যবহার
* যোগ্যতা যাচাই ছাড়াই পরিবহন তত্ত্বাবদধায়ক হন
* ছাত্রলীগের নেতা খাইরুল বাকের কে প্রতিষ্ঠিত করা
নিষিদ্ধ ঘোষিত আ.লীগ নেতা শেখ ফজলে নূর তাপস তারই ঘনিষ্ঠ আরিফ চৌধুরী ৫ইআগস্টের পরে খোলস পরিবর্তন করো বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন পাশে চলে যায়।অথচ সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ঘনিষ্ঠ ছিলেন আরিফ চৌধুরী। অবসরপ্রাপ্ত চিপ অফিসার জিল্লুর রহমান আশীর্বাদে পরিবহন তত্ত্বাবধায়কের পথ পান। এই পদে থাকার পড়াশোনা থেকে শুরু করে তার কোন যোগ্যতা নেই বলেই জানা যায়। নব্য বিএনপির নেতা সেজে আরিফ ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নব্য বিএনপি নেতা আরিফ, নগর ভবনে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইশরাকের আন্দোলনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগ দেননি তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন,এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মোটা অংকের টাকা দাবি করার অভিযোগ এসেছে।নিজেই পরিকল্পিতভাবে ইশরাক সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে মব তৈরি করে একটি কোন্দল তৈরি করে ফেলে।সরাসরি ইশাকের কাছে যাওয়ার একটি ফায়দা অবলম্বন করে। ঐদিন ঘটনায় মেডিকেলে গুরুতর আহত দুজন ভর্তি হন মনির হোসেন (৪৫) ও মহিদুল ইসলাম (৩৫)। আহতদের দেখতে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান ইশরাক হোসেন। আরিফ চৌধুরী মব সৃষ্টি করে ইসরাক হোসেনের কাছে চলে যান।প্রশ্ন হল সবাই ইশাকের মেয়র দাবিতে এসেছিল সবাই ইসরাক হোসেনকে ভালোবেসেই নগর ভবনের ছিল তারা তো ফ্যাসিস্ট্রেট দলে না। প্রশাসনিক একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে অফিস সহকারী থেকে পরিবহন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পান আরিফ চৌধুরী।সে এখন তিনটি গাড়ি ব্যবহার করে থাকে মাইক্রো বাস ৫০০ নাম্বার মেয়র প্রটেকশনের গাড়ি ৩৩৮২ ও প্রাইভেটকার ৩৯৬ ব্যবহার করে থাকে ৬ মার্চ সচিব বশিরুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে আরিফকে কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
তাপসের সময়ে আরিফ চৌধুরী বিদ্যুৎ বিভাগের অফিস সহকারী থেকে পদোন্নতি পেয়ে পরিবহন বিভাগে কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে যোগদান করেন। ছাত্র নিহত হওয়ার দুর্ঘটনায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ওই গাড়ির চালকের সহযোগীকে তিনি অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে ময়লার গাড়ির চাবি তুলে দেন। এই ঘটনায় সাবেক মেয়র তাপস আরিফকে বরখাস্ত করেন। মুগদায় নিহত ছাত্রের জানাজায় উপস্থিত হয়ে জনসমক্ষে তাপসের কাছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
৫ আগস্টের পরে বরখাস্তের ঘটনাকে রাজনৈতিক কারণ বলে চালিয়ে দেন আরিফ। কর্মচারী থেকে কর্মকর্তার পদ পেয়ে যান আরিফ। পরিবহনের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অন্তর্ভুক্ত দলের সভাপতি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন আরিফ। তবে এর কোনো বৈধ কাগজপত্র তাদের কাছে নেই বলেও জানায় নগর ভবন সূত্র। সাবেক মেয়র তাপসকে পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার পরে আরিফ তাকে অভিনন্দন জানান। আরিফ চৌধুরীই বর্তমানে বিএনপি নেতা। ইশরাকদের আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থনে আন্দোলনের ৪০ দিনের মাথায় নাগরিক সেবা পুনরায় চালুর জন্য নগর ভবনের কয়েকটি দপ্তরের তালা খোলা হয়। কিন্তু অধিকাংশ দপ্তরে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দেখা যায়নি।জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারীদের নাম ব্যবহার করে কিছু কর্মচারী হঠাৎ বিএনপি নেতা ইশরাকের সমর্থন আদায়ের মব সৃষ্টি করে আধিপত্য বজায় রাখতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তারা আন্দোলনের পর অফিস খোলার প্রথম দিনই নগর ভবনে শোডাউন করেন।অপরদিকে বিএনপি শ্রমিক দলের অপর অংশের নেতা আরিফুজ্জামান প্রিন্স গ্রুপের কর্মচারীদের নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে নগর ভবন থেকে বের করে দেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে নতুন করে আতঙ্ক শুরু হয়।
ইসরাকের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্স দলবল নিয়ে নগর ভবনে ঢোকার সময় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী সভাপতি আরিফ চৌধুরীর লোকরা তাদের ধাওয়া দেন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।এ সময় সংঘর্ষের ছবি ও ভিডিও ধারণ করার সময় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছেন আরিফ সমর্থকরা। তারা। দুপুর দেড়টার দিকে শ্রমিক দলের নেতা আরিফুজ্জামানের অনুসারী সন্দেহে নগর ভবনের এক কর্মীকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ইশরাকের অনুসারীরা সিটি করপোরেশনের প্রশাসন শাখার কম্পিউটার অপারেটর শেখ মুহাম্মন তৌহিদুল ইসলামকে বেদম পেটাতে থাকেন। এ সময় পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে পুলিশের কাছে তাকে দিতে রাজি হননি ইশরাকের অনুসারীরা। পরে নগর ভবনে আসা আরেক ব্যক্তিকে প্রিন্সের অনুসারী সন্দেহে বেদম মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এই দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। , ইশরাক হোসেন নগর ভবনে সেবা চালু করার ঘোষণা দেওয়ার পরও আরিফ চৌধুরীর লোকজন প্রতিদিন এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি দিচ্ছে। যারা ইশরাকের আন্দোলনে অংশ নেয়নি তাদের ‘বিরোধী পক্ষ উল্লেখ করে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন তারা। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাদের নগর ভবনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আরিফ চৌধুরীর অভিযোগ শান্তিপূর্ণভাবে নগর ভবনে অবস্থান নিয়েছিলেন। বহিরাগতরা এসে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আটজনকে গুরুতর আহত করে। পরিবহন বিভাগের অফিস সহকারী পদে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে যোগ দিয়েছেন। ২০২৪ সালে রাজনৈতিক কারণেই সাবেক মেয়র তাপস চাকরিচ্যুত করেছেন।আরিফ চৌধুরি মব সৃষ্টি করে খাইরুল বাকের ও কিবরিয়া কে নগরভবনে ঢুকতে দেয় নাই অনুসন্ধানে উঠে এসেছে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য সাবেক ছাত্রলীগের নেতা খায়রুল বাকের থেকে ডলারের মাধ্যমে নগর ভবনে প্রতিষ্ঠিত করে। এটা নিয়ে চাঞ্চলতার সৃষ্টি হয়।