ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো নজিরবিহীন হামলার পর ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (চিফ অব স্টাফ) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাগেরি বলেছেন ইহুদীবাদী ইসরাইলের যে কোন হামলার জবাব দিতে প্রস্তুুত রয়েছে ইরান। তিনি বলেন, ইরান ইসরাইলের কোন বেসামরিক এলাকা বা স্থাপনায় হামলা করেনি। যো করা হযেছে তা ন্যায়ভাবেই করা হয়েছে। এবং ভবিষ্যতেও ইসরাইল যদি কিছু করে তার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে ইরান।
এ দিকে ইরানের হামলার পর সে হামলার জবাব দিতে বৈঠক করেছে ইসরাইলের যুদ্ধকালিন মন্ত্রী সভা। তারা এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ইরানী এ হামলার জবাব দেয়া হবে। কিন্তু কখন কী ভাবে এ হামলা করা হবে তার বিস্তারিত জানায়নি দেশটি।
এদিকে ইসরাইলী ভু খন্ডে ইরানের ব্যাপক হামলার পর ইসরাইলকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছে তাদের মিত্র জোটের শরিকরা। কারণ এর পর কোন বাড়াবাড়ি হলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অশান্ত করে তুলবে। যা মূলত আমেরিকান স্বার্থের জন্য কোনভাবেই শুভ নয়।
শনিবার গভীর রাতে ইসরায়েলে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মাধ্যমে ইরানের সবকয়টি লক্ষ্যই পূরণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন মোহাম্মদ বাগেরি। ইসরায়েল পরবর্তীতে প্রতিশোধমূলক হামলা না চালালে দেশটিতে আর কোনো হামলার পরিকল্পনা নেই তেহরানের বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের কোনো বেসামরিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে ইরান হামলা চালায়নি। দেশটিতে হামলায় কেবল সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়েছে। হেরমন পর্বতে ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সশস্ত্র বাহিনীর এ কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় ওই ঘাঁটি জড়িত। এ ছাড়া নেগেভ মরুভূমিতে ইসরায়েলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘাাঁটি থেকেই ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, ইরানের হামলায় ইসরায়েলের এ ঘাঁটি দুটিই উল্লেখযোগ্যভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। শনিবারের হামলার চেয়ে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী হামলা চালাতে তেহরান সক্ষম বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার জবাবে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধাকালীন মন্ত্রিসভা। যদিও সেই হামলা কখন এবং কোন মাত্রায় হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে ইসরায়েলের পাঁচ সদস্যের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নেয়।
এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে সাংঘর্ষিক অবস্থা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। ইরান এরই মধ্যে ইসরায়েলের পাল্টা হামলার মতো বাড়াবাড়ি নিয়ে সতর্ক করেছে।