যদিও নির্বাচনের শুরু থেকে নিজেকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দাবি করে আসছিলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এ নেতা। কিন্তু জামানত হারিযে এখন বলছেন নির্বাচন সুষ্ঠ্যু হয়নি।
রোববার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, আসনটিতে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া কেটলি প্রতীকে ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট পেয়েছেন। আর তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন মাত্র তিন হাজার ১৯০ ভোট। সেই হিসেবে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তৈমুরের ব্যবধান এক লাখ ৫৩ হাজার ২৯৩ ভোটের।
এই আসনে মোট ভোট পড়েছে দুই লাখ ১২ হাজার ৬২৪টি। বিধান অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেই হিসেবে জামানত বাঁচাতে তৈমুর আলমের প্রয়োজন ছিল অন্তত ২৬ হাজার ৫৭৮ ভোটের।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে এমন হার দেখতে হয়েছে বলে দাবি তৈমুর আলম খন্দকারের। সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী টাকা বিলি করে ভোট কিনেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তৈমুর বলেন, নৌকার প্রার্থী টাকা বিলি করছে আমরা অভিযোগ করে আসছি। মিডিয়াতেও এসেছে এটা। একজন ৫ লাখ টাকা নিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে। শনিবার রাতে বরপা এলাকায় আমার এজেন্টদের পিটিয়েছে ছাত্রলীগ, যুবলীগের ছেলেরা।
সব মিলে সামনের দিনে রাজনীতিতে হতাশা ছাড়া তেমন কিছুই অপেক্ষা করছে না তার জন্য এমন মন্তব্য তার অধিকাংশ শুভাকাঙ্খিদের ।