The Daily Kalerchobi
May 3, 2024 Bangladesh

Blog Post

The Daily kaler chobi > অপরাধ > তৃতীয় বিয়ের জন্য ৩৩ লাখ টাকা চুরিঃ ঘরে আছে দুই বউ

তৃতীয় বিয়ের জন্য ৩৩ লাখ টাকা চুরিঃ ঘরে আছে দুই বউ

কালের ছবি ডেস্কঃ

ঢাকার ইসলামপুরে নাশওয়ান ফ্যাশন। লেডিস কাপড় বিক্রির একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানেই বিশ্বস্ততা, অভিজ্ঞতা এবং সততা দেখিয়ে ২০২২ সালে চাকরি নেয় সাঈদ আহমেদ। বাড়ি গাইবান্ধার সদর থানায়। সাঈদ এর আগে চাকরি করেছে রংপুরের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে। ঘরে তার দুইজন স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী বাইতুন্নেছা লতা, দ্বিতীয় স্ত্রী বিউটি আক্তার। ঈদকে সামনে রেখে তার কর্মস্থল দোকানে কেনাবেচা ভালোই চলছিল। গত শুক্রবার ও শনিবার দোকানে প্রায় ৩৩ লাখ টাকার বিক্রি হয়। ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে সেই টাকা দোকানের লকারেই ছিল।
রোববার সকালে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সাঈদ তার এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সেই টাকা দোকানের কাছাকাছি ঢাকা ব্যাংকের একটি শাখায় জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
কিছুদূর যাওয়ার পর সহকর্মীকে দোকানে পাঠিয়ে দিয়ে একাই টাকা জমা দিতে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে। কিছু সময় ব্যাংকের শাখার ভেতরে ঘোরাঘুরি করে ব্যাগভর্তি ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে চলে যায় গাজীপুরে প্রেমিকা রিতার কাছে। গাজীপুর থেকে প্রেমিকাকে নিয়ে যায় নরসিংদী। সেখান থেকে বগুড়া। বগুড়ায় গিয়ে ওই টাকা দিয়ে প্রচুর কেনাকাটা করে চলে যায় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দার তেঁতুলিয়া। আমোদ-ফুর্তি করে দুই হাতে খরচ করতে থাকে টাকা।
সেখান থেকে প্রেমিকার বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুরে। উদ্দেশ্য ছিল টাকা ও প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সেটি আর সম্ভব হয়নি। কারণ ততক্ষণে দোকানের মালিকের মাধ্যমে থানা পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশের কাছে খবর চলে যায়। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে সাঈদ ও তার প্রেমিকা রিতাকে। পরে তাদের দেখানো মতে ট্রাঙ্ক ও মাটিতে গর্ত করে লুকিয়ে রাখা ৩১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করে গোয়েন্দারা।

ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিশনাল ডিআইজি পদে পদন্নোতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান কালের ছবিকে বলেন, পরকীয়ার সম্পর্ক, প্রেমিকাকে বিয়ে করে আমোদ-ফুর্তি করে ঘুরে বেড়ানোর জন্যই সে টাকাগুলো চুরি করেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে এই ভয়ে সে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

ব্যর্থ হয়ে যশোর দিয়ে যাওয়ার পথে ফরিদপুরে গ্রেপ্তার হয়। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রিতার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানা এলাকায়। ব্যক্তি জীবনে সে বিবাহিতা হলেও বর্তমানে সে স্বামীর সঙ্গে আলাদা থেকে গ্রেপ্তারকৃত সাঈদ আহমেদের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক বজায় রেখে বসবাস করে আসছিল। সে নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করে। সাঈদ ও রিতা পরস্পর যোগসাজশে চুরির পরিকল্পনা করে এবং চোরাই টাকা নিয়ে আত্মগোপন করে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *