ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
নির্বাচনী আচরন বিধি ভেঙে ঝিনাইদহ-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাহজিব আলম সিদ্দিকীর পক্ষে নির্বাচনী সভা-সমাবেশ ও প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হুসাইনের বিরুদ্ধে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির এহেন কর্মকাণ্ডকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন জেলার সচেতন নাগরিক সমাজ।
জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের চাপ প্রয়োগ করে ঝিনাইদহ-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাহজিব আলম সিদ্দিকীর পক্ষে কাজ করতে বলছেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হুসাইন। তার বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের মাঝে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি প্রদান করারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউনে নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। এমনকি ওই প্রার্থীর পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র নিজ হাতে জমা দিয়েছেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হুসাইন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হরিণাকুণ্ডু উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হুসাইন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকীর সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি অনেক জায়গায় বক্তব্যে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন যারা নৌকায় ভোট দেবে না তাদেরকে কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হবে না। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদেরকেও কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিচ্ছেন তিনি।
এ সকল অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হুসাইন জানান, আমি সরকারি ও দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক চলছি। এমপির যে কয়টি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি সেখানে আমি উপজেলা পরিষদের গাড়ি পর্যন্ত ব্যবহার করিনি। একটা গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মানবাধিকার কর্মী আবু হাসান জানান,যেখানে নির্বাচন কমিশন থেকে সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে অবাধ-সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিতা মূলক নির্বাচন করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করার বিধান রয়েছে। সেখানে কিভাবে একজন প্রার্থীর পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছেন। এটা করা ঠিক হচ্ছে না। বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম জানান, এঘটনাটি সম্পর্কে আমার জানা নেই। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে