পলক বলেন, আগামী ৩৪টি দিন আমাদের দৈনন্দিন কাজ, আমি সবাইকে অনুরোধ করবো এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনারা সবাই সতর্কতার সঙ্গে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। কারণ টেলিকম কমিউনিকেশন যদি চলমান না থাকে তাহলে আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য সব কিছুই কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। আমাদের ডাক যদি চালু না থাকে তাহলে আমাদের যে লজিস্টিকস, আমাদের সব পণ্য আনা নেওয়া করা সেটাই কিন্তু একটা দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে যাবে।
বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে পলক বলেন, এখন আমরা দেখছি হরতাল-অবরোধের নামে একটা রাজনৈতিক দল, একটা রাজনৈতিক গোষ্ঠী দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করে প্রতিদিন নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ করছে। অত্যন্ত একজন নিরীহ ট্রাক চালক মারা গেছে। অসংখ্য গাড়ি পোড়াচ্ছে, রাস্তায় অবরোধ করছে।
‘সেই সময়ে আমাদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে খুব সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ডাক বিভাগকে চলমান রাখতে হবে সব পণ্য, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত চিঠিপত্র লেনদেন করা; আমাদের বিটিআরসিকে দায়িত্ব পালন করতে হবে অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে যাতে আমাদের টেলিকমিউনিকেশন কোনো রকম বাধা না হয়। অপরদিকে আমাদের স্যাটেলাইট কমিউনকেশনকেও চালু রাখতে হবে বিনোদন, যোগাযোগ এবং যাতে আমাদের টেলিভিশন সেন্টারগুলো নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে। অপরদিকে আমাদের সাবমেরিন কেবল, আপনারা জানেন বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমরা টেরিস্টেরিয়ালে যুক্ত, সাবমেরিনে যুক্ত। এমন কোনো বিষয় নেই যেখানে বাংলাদেশ আসলে অবস্থান রাখেনি।’
পলক বলেন, ১৯৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন স্যাটেলাইটের আর্থ স্টেশন স্থাপন করেছিলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ মহাকাশে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
‘আমি সবাইকে অনুরোধ করবো এই দৈনন্দিন কাজগুলো অত্যন্ত সততার, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো। যেন নির্বাচনকালীন আমাদের কোনো ধরনের যোগাযোগ এবং সেবা যাতে বিঘ্ন না ঘটে। আমাদের রাষ্ট্রীয়, সরকার এবং জনগণের কোনো সেবা যেন ব্যাহত না হয়।