The Daily Kalerchobi
May 3, 2024 Bangladesh

Blog Post

The Daily kaler chobi > breaking news > ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের কাহিনী শোনালেন ফিলিস্তিনি কিশোর

ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের কাহিনী শোনালেন ফিলিস্তিনি কিশোর

আন্তর্জলিাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ফিলিস্তিনের ১৮ বছর বয়সী তরুণ মোহাম্মদ নাজাল। মুক্তির পর অধিকৃত পশ্চিত তীরে ফিরে সাংবাদিকদের তিনি ভয়াবহ নির্যাতনের গল্প শুনিয়েছেন।

মোহাম্মদ নাজাল জানান, ইসরায়েলে কারাবন্দী থাকার সময় তিনি মারধরের শিকার হয়েছিলেন। তাকে কোনো চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়নি।মোহাম্মদ নাজালের জন্ম অধিকৃত পশ্চিম তীরের কাবাতিয়া শহরে। তার বর্ণনা অনুযায়ী মেডিকেল রেকর্ডগুলো একটি নির্ভরযোগ্য ফ্যাক্ট-চেকিং এজেন্সির মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে এবং তিনি যে ইসরায়েলি কারাগারে নির্মম দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছিলেন, সে ব্যাপারে যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে।

গত আগস্টে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছিল ইসরায়েরি বাহিনী। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ নাজালও ছিলেন। গ্রেফতারের পর তাকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই কারাগারে পাঠানো ক হয়। গত শুক্রবার তিনি যুদ্ধবিরিতির চুক্তি অনুযায়ী বন্দিবিনিময়ের অংশ হিসেবে কারাগার থেকে মুক্তি পান।

মুক্তির পর মোহাম্মদ নাজাল আল জাজিরাসহ স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোকে সাক্ষাৎকার দেন। তিনি বলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলের কারাগারে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন বাড়িয়ে দেয় কারারক্ষীরা।

মোহাম্মদ নাজাল বলেন, একজন ইসরায়েলি কারারক্ষী আমাকে আট মিনিট ধরে লাঠি দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়েছেন। কোথায় লাঠির বাড়ি পড়ছিল, তার খেয়াল ছিল না। আমি হাত দিয়ে কোনোমতে মাথা ঢেকে রেখেছিলাম। লাঠির আঘাতে আমার হাত ভেঙে গেছে।

দুই হাতে ব্যান্ডেজ পরা নাজালের ছবি তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। নাজাল বলেন, আমার হাত ভেঙে গেছে এবং বেশ কয়েকটি আঙুল ভেঙে গেছে। এখনো পুরোপুরি সুস্থ হতে পারিনি। ডাক্তার বলেছেন, হাড় জোড়া দেওয়ার জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

নাজাল অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, আমাকে তারা মেঝেতে ফেলে পিটিয়েছে। আমি প্রায় অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে কাতরাতচ্ছিলাম। তবু তারা আমাকে মেঝে থেকে তোলেনি। এমনকি কোনো ধরনের চিকিৎসাসেবা দেয়নি তারা

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *